হার্ভার্ডের দিনলিপিঃ ০১০

গত দুই সপ্তাহ মিড টার্মের ছাপে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবার দশা হয়েছিলো,দিনলিপি লেখার সময় পাইনি। মিড-টার্ম সপ্তাহ শেষ,কিছুটা দম নেবার সুযোগ পেয়েছি- এই সুযোগে আবার লিখতে বসছি।যাঁরা ইমেইল করেছেন বা ইনবক্সে নক করেছেন,তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটেছে এই মাঝখানের সময়টাতে- শুরু করি প্রফেসর রোজেনবার্গের সাইবার সিকিউরিটি ক্লাসের ঘটনা নিয়ে।

আমি কেনেডি স্কুলের ছাত্র হলেও এখানের একটা বিরাট সুবিধা হচ্ছে গোটা হার্ভার্ডজুড়ে যে কোনও স্কুলে অফার করা কোর্স নেবার সুযোগ আছে। শুধু তাই নয়,হার্ভার্ডের সাথে বোস্টনের খুব ভালো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি কোল্যাবোরেশন আছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের মক্কা বলে খ্যাত এমআইটি বা ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি,টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়( এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নাম করা স্কুল হচ্ছে ফ্লেচার স্কুল অফ ল এ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি,হার্ভার্ডের ক্ষেত্রে যেটা বিজনেস স্কুল),বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। শুধু তাই নয়,কেনেডি স্কুলের সাথে যৌথভাবে ডিগ্রি নেয়া যায় স্ট্যানফোর্ডের গ্রাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেস,ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অফ বিজনেস,ডার্টমাউথের টাক স্কুল অফ বিজনেস এবং এমআইটির স্লোয়ান বিজনেস স্কুলের সাথে। সহপাঠীদের একটা বিরাট অংশ এসেছে এই জয়েন্ট ডিগ্রি প্রোগ্রাম থেকে,এর ফলে ওদের সাথে কথাবার্তা বলে অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছি। এই মেধাবী ছেলেমেয়েগুলোর দিকে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি- ওদের গল্প শুনি। এভাবেই পরিচয় হয়েছিল এরিকার সাথে- বিজনেস স্কুলের “ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি” কোর্সে আমার ডানপাশে বসে ও। থাই বংশোদ্ভূত আমেরিকান মেয়ে- প্রচণ্ড হাসিখুশি আর মিশুক। এখানে বিজনেস স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের একটা দুর্নাম আছে নাক উঁচু বলে,ওর সাথে মিশলে এই ধারণাটা একেবারেই ফালতু বলে মনে হবে। এরিকার সাথে আমার দুটো কোর্স,একটা “ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি”,আরেকটা দি গ্রেট মার্শাল গানজের “পাবলিক ন্যারেটিভ”। পাবলিক ন্যারেটিভ ক্লাসটা এমন,যেখানে প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রীকে নিজের জীবনের একেবারেই ব্যক্তিগত কিছু গল্প শেয়ার করতে হয়।আমাকে শেয়ার করতে হয়েছে একদম পাঁচ বছর বয়েসের স্কুল-জীবনের গল্প,বাকিদেরও তাই। এই শেয়ার করাটা এলেবেলেভাবে ইচ্ছেমত নয়,কি কি মূল্যবোধ আমাকে “আমি” বানিয়েছে এবং জীবনে সর্বপ্রথম কিভাবে এই মূল্যবোধগুলো আমার ভেতরে এলো- যেসব জিনিসগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ- এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে হয় এই কোর্সে। এই ক্লাসটা হার্ভার্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা ক্লাস- এখানের সহপাঠী যারা,আমরা একে অন্যের জীবনের গভীরতম কিছু সত্য জেনে ফেলি যেটা অন্য পরিবেশে মোটামুটি অকল্পনীয়।এরিকা আমার গল্প জানে,আমি ওর- পাশাপাশি বসায় এক ফাঁকে জানলাম ওর হার্ভার্ড আসার কাহিনী। এখানে আসার আগে ও কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করত,সব ছেড়েছুঁড়ে বার্নি স্যান্ডার্সের ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়েছিল।বার্নির ক্যাম্পেইন ম্যানেজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে,ওটা লিখে ও বিজনেস স্কুলে এ্যাডমিশন পেয়েছে। বার্নির সাথে কাজ করেছে জেনে ভীষণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলাম- নানা কারণে এই ভদ্রলোককে খুব পছন্দ করি। কট্টর পুঁজিবাদী আমেরিকার বুকে দাঁড়িয়ে বৈপ্লবিক সব চিন্তাধারা লালন করেও তিনি একজন সেনেটর,হাল না ছেড়ে দেয়া একজন যোদ্ধাবিশেষ।আমার উচ্ছ্বাস দেখে এরিকা আমাকে না জানিয়ে একটা কাজ করল,উইকেন্ড থেকে ফিরে আমার হাতে “ভোট ফর বার্নি,জয়েন দা রেভোলিউশন” লেখা একটা টিশার্ট ধরিয়ে দিলো। এখানে একা একা থাকি,দেশের কথা মনে পড়ে খুব- এরকম সময়ে ওর দেয়া এই উপহার পেয়ে প্রচণ্ড খুশি হয়েছিলাম। টিশার্ট-টা রেখে দিয়েছিলাম বক্সিং ক্লাসে পড়ব বলে,কিন্তু সেদিন ঘুম থেকে দেরি করে ওঠায় হাতের কাছে এটা পেয়ে এটাই গায়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলাম প্রফেসর রোজেনবার্গের সাইবার সিকিউরিটি ক্লাসে।

আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ এবং প্রভাব বিস্তার নিয়ে গোটা আমেরিকাতে বেশ কিছুদিন ধরে তোলপাড় চলছে।ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলো সোশাল মিডিয়াতে ম্যানিপুলেশন করে ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিতে,হিলারির সাথে তার পুরাতন শত্রুতা- এধরণের কথাবার্তা এখানে বেশ জোরেশোরে আলোচনা হয়েছে। যদিও সরাসরি নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেবার মত কোনও আলামত পাওয়া যায়নি,কিন্তু হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইনের প্রায় প্রতিটা সদস্যের ইমেইল হ্যাক হয়েছিল,ফাঁস হয়েছিলো নানান তথ্য। এই ব্যাপারে আলোচনা করতে দুজন গেস্ট স্পিকারের ক্লাসে আসার কথা- ওবামা প্রশাসনের সাবেক সেক্রেটারি অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জনাব জনসন আর হিলারি ক্লিনটনের ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ম্যানেজার রবি মুক। রবি মুক হচ্ছে সেই ব্যক্তি,যে বার্নি স্যান্ডার্স ক্যাম্পেইনের সাথে নেগোশিয়েট করে হিলারির পক্ষে সমর্থন যোগাড় করেছিল(আমি তো এতকিছু জানতাম না,পরে উইকিপিডিয়াতে দেখেছি)।

 

ক্লাসে হিটিং সিস্টেম চালু হয়েছে,সোয়েটার খুলে বসেছি। কেন জানি মনে হচ্ছিল আশেপাশের মানুষজন আমার দিকে কেমন কেমন করে তাকাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে। রবি তার ইমেইল একাউন্ট হ্যাকের কথা বলছিল খুব সাবলীলভাবে- আমার দিকে চোখ পড়তেই এক পলক থমকে আবার কথাবার্তা চালু করল।

আমার মোটা মাথায় এসব কিচ্ছু ঢোকেনি- আমেরিকান পলিটিক্স নিয়ে আগ্রহ সামান্যই রাখি। আমার আগ্রহ ছিল অন্য একটা ব্যাপারে- আমেরিকান ইলেকশন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ে,আর দুহাজার ষোল সালের ইলেকশনে হিলারি ক্লিনটন হেরে যাবে এটা গোটা বিশ্বের খুব কম মানুষই কল্পনাতে এনেছিল। ব্যাপারটাকে তুলনা করা যায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার সেই টি-টুয়েন্টি ম্যাচের মত,যেটাতে শেষ তিন বলে পর পর মুশফিক-রিয়াদ আউট হয়ে এক রান নিতে না পারায় হেরে গিয়েছিল অবিশ্বাস্যভাবে। এই ইলেকশনে হিলারি হেরে যাবে,এটা কেউ বিশ্বাসই করতে পারেনি( প্রফেসর স্টিভ জার্ডিং বাদে,উনার গল্পে পরে আসছি)। বিজয়ীকে সবাই মনে রাখে,আর হেরে যাওয়া ব্যক্তির কপালে জোটে দুয়োধ্বনি।

রাজনীতি হচ্ছে মানুষের আবিষ্কৃত সবচাইতে বড় রঙ্গমঞ্চ-এর দর্শক সবচাইতে বেশি,চরিত্রগুলোও সবচেয়ে বেশি মহিমান্বিত। এরকম বিশাল একটা রঙ্গমঞ্চে প্রায় নিশ্চিত জিতে যাওয়া একটা ইলেকশন হেরে গিয়ে সেই ক্যাম্পেইনের ম্যানেজার কিভাবে রাতে ঘুমায়- এত বড় ব্যর্থতা কিভাবে হজম করে- ক্লাস শেষ করে রবির কাছে আমি এটা জানতে চেয়েছিলাম।

 

রবি শুরুতেই বলল,তোমার টি-শার্ট খেয়াল করেছি,তোমরা এখনও ক্ষেপা আছো আমার উপর? বললাম,ভাই এরকম কিছু না,আমি এমনিই পরে আসছি এইটা। “হু,তুমি কইলা আর আমিও বিশ্বাস করলাম” টাইপ একটা হাসি দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলো ও। “মাসরুফ,যখন এই চাকুরী নেই তখনই জানতাম যে তিনভাগের দুই ভাগ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও এক ভাগ হেরে যাবার সম্ভাবনা আমার আছে।সত্যি বলতে,হেরে গিয়ে প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে সন্দেহ নেই। কিন্তু আগামীকাল একটা নতুন দিন,একটা নতুন লড়াই। বাজেভাবে হেরেছি- এর মানে হচ্ছে কি কি ভুল হয়েছে সব দেখতে পেয়েছি,যা পরের লড়াইতে কাজে লাগবে। হয়ত ওটাতেও হেরে যাব,কিন্তু তাতে কি?তখন তার পরেরটার জন্য অপেক্ষা করব। বিজয়ের উল্লাসের মত পরাজয়ের বেদনা জীবনের অংশ- বরং হেরে যাবার পর কিভাবে সেই হার হজম করছি সেখানেই আমার চারিত্রিক দৃঢ়তা বেশি প্রকাশ পাবে”।

 

খুব ভালো লেগেছিল রবির কথগুলো।সত্যিই তো,জিতে গিয়ে নাচানাচি তো সবাই করতে পারে,হেরে গিয়েও মাথানত করেনা এমন ক’জন আছে?প্রতিটা মানুষের জীবনে পরাজয়ের তিক্ততা আসবেই অবধারিতভাবে,এই তিক্ততা সহ্য করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। মাওলানা জালালুদ্দিন রুমী যেমন বলেছেন-“ঘষামাজাকে যদি ভয় করো,উজ্জ্বলভাবে আলো ছড়াবে কিভাবে?(If you are afraid of polish, how do you expect to shine?)। যদ্দুর জানি,হেরে যাবার পর রবি হার্ভার্ডের বেলফার সেন্টারে “ডিফেন্ডিং ডিজিটাল ডেমোক্রেসি” নামে একটি গবেষণা প্রোগ্রাম শুরু করেছে। গোটা বিশ্বজুড়ে ইলেকশনের সময় হ্যাকিং,সোশাল ম্যানিপুলেশন ইত্যাদির মাধ্যমে ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। কে জানে,রবির এই প্রচেষ্টা হয়ত একসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফলাফল দেবে যেটা তাকে এত বড় পরাজয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে সহায়তা করবে! হয়ত এই পরাজয়টা ওর দরকার ছিল!

 

ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে আসছি,দেখি চার পাঁচজন ছাত্র বাইরে জটলা পাকিয়ে গল্প করছে। আমাকে দেখেই হইহই করে উঠলো- “ ইউ গট সাম সিরিয়াস বলস,ম্যান! হোয়াট আ মুভ!”

গুগল করে জানলাম,“হ্যাভিং বলস” বা “অণ্ডকোষ থাকা” মানে আমাদের বাংলা ভাষায় হচ্ছে “কলিজা” থাকা। ভাবপ্রকাশটা অনেকটা এরকম-“এত বড় কথা মুখের উপর বলে দিল,ব্যাটার কলিজা আছে!” আমি আর বললাম না যে এইটা ইচ্ছা করে করিনাই। বললে কেউ বিশ্বাস করতনা!

 

অণ্ডকোষ-এর কথা যখন আসলোই,বেটি হোয়াইটের একটা উক্তি উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারলাম না-

“Why do people say “grow some balls”? Balls are weak and sensitive. If you wanna be tough, grow a vagina. Those things can take a pounding.”

 

 

এই যে হার্ভার্ড হার্ভার্ড বলে এত মাতামাতি করছি এটা সম্ভবত রাগিব হাসান ভাইয়ের বর্ণিত আমেরিকান গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের “বাথটব কার্ভ” এর শুরুতে থাকার ফল। প্রথম প্রথম নতুন দেশে এসে সবকিছুই ভালো লাগে (শুরু),তারপর ধপাস করে পড়ে যেতে হয় কালচারাল শক খেয়ে (বাথটবের নীচের অবস্থান) ,ইচ্ছা হয় সব ছেড়েছুঁড়ে দেশে চলে যেতে। এভাবে কিছুদিন যাবার পর আস্তে আস্তে মনে হয়-“নাহ,এসেছি যখন শেষ দেখেই যাই”(বাথটবের অন্য প্রান্তের উপরে চলে আসা )। হুমায়ূন আহমেদের একটা অপূর্ব বই আছে-“হোটেল গ্রেভার ইন”,ওখানেও একই সাইকেলের বর্ণনা আছে তাঁর নিজের জীবনের।

চোখ থেকে হানিমুন পিরিয়ডের চশমাটা সরে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি যদিও। হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলকে বলা হয় আমেরিকান পলিটিকাল চিন্তাচেতনার অন্যতম সূতিকাগার- পলিটিকাল পণ্ডিতদের তীর্থভূমি। এখানে যেসব আমেরিকান ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে তারা প্রচণ্ড রকমের রাজনীতি সচেতন হবে,বিভিন্ন পলিটিকাল মুভমেন্টে অংশ নেবে,দেশ-জাতি-সমাজ পরিবর্তনে প্রণিধানযোগ্য অবদান রাখবে এমনটাই তো হবার কথা তাইনা?

আচ্ছা,বলুন তো,গত ইলেকশনে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের আমেরিকান ছাত্রছাত্রীদের কত শতাংশ ভোট দিয়েছে?

মাত্র ষোল পার্সেন্ট। কল্পনা করা যায়?হার্ভার্ড ভোটস নামে একটা সংগঠন আছে,ওরা এখন জায়গায় জায়গায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে কাকুতি মিনতি করে- প্লিজ প্লিজ প্লিজ তোমরা ভোটে অংশগ্রহণ করো! বাংলাদেশের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ভোট দিতে যায়,বিশ্বের মুক্তচিন্তার তথাকথিত ধ্বজ্বাধারী আংকেল স্যামের( আমেরিকার ডাকনাম) ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে আরও পঞ্চাশ বছর লাগবে।

 

আমার মাতৃভূমির অনেক কিছুই অতি জঘন্য,মেনে নেয়া যায়না এমন। কিন্তু তার মানে এই না যে আমাদের সব কিছুই খারাপ আর বাইরের সব কিছুই ভাল। বাংলাদেশ থেকেও মেলাকিছু শেখার আছে আমেরিকার।

জয় বাংলা!

 

#হার্ভার্ড

 

Comments

comments