আপনার কি শত্রু আছে? ঘায়েল করতে চান?
এমন একটা পেশা বেছে নিয়েছি যেখানে আশি ভাগ শত্রু, পনের ভাগ নিরপেক্ষ আর পাঁচ ভাগ বন্ধু। টিকে থাকতেই নিত্যনতুন শত্রু ঘায়েল করতে হয়, বুড়ো হাবড়া এক পি আই জি (PIG) কে নাকে দড়ি পরাতে হয়। কিভাবে?
সান জু এর আর্ট অফ ওয়ারের প্রায় এক হাজার বছর পর আরেকটি চীনা বই কনফ্লিক্ট স্ট্র্যাটেজিতে অমূল্য অবদান রেখেছিল। এ বইটি ষাটের দশকে পুন:প্রকাশিত হয়। পনেরশ বছর পুরোন এই বইটিকে ইংরেজিতে বলে দ্যা থার্টিসিক্স স্ট্রাটাজেমস, বাংলায় যাকে আমি বলি ছত্রিশকলা। চীনাদের মতে, পৃথিবীর সব স্ট্র্যাটেজি এই ছত্রিশটি কলাকৌশল বা প্রবাদের ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে।
আপনাদের সুবিধার্থে অতি সংক্ষেপে এই ছত্রিশটি সূত্র তুলে ধরছি:
এক)
সমুদ্রপাড়ি দেবার সময় আকাশকেও ফাঁকি দিন।
মানে, আপনার মূল লক্ষ্য যদি সাগরপাড়ি দেয়া হয়, তাহলে ভান করুন আপনি মাছ ধরছেন, যেন আকাশও টের না পায়। যাকে বলে, নিজের আসল লক্ষ্য ঢেকে একটা ফাঁকিবাজি লক্ষ্য সবাইকে দেখান যাতে শত্রু আপনার উদ্দেশ্য ধরতে না পারে।
সাঈদিকে ধরতে কলিজুকে হাত করুন।
মানে, শত্রু যখন খুব শক্তিশালী তখন তাকে সরাসরি আক্রমণ না করে এমন কিছুকে হাত করুন যা তার অত্যন্ত প্রিয়। এই যেমন মেশিনম্যান সাঈদিকে হাত করতে তার ফোনসেক্স পার্টনারকে বশ করা যেতে পারে।
খুন করুন ধার করা ছুরি দিয়ে।
আমেরিকা যেটা করে। কোন নেতাকে হত্যা করে সেই দেশের ভেতরে ওই নেতার শত্রুদের দিয়ে, নিজেরা হাত লাগায় না।
শত্রু কাঁঠাল পাড়ুক, আপনি গোঁফে তেল দিন
শত্রুকে খাটিয়ে মেরে নিজের শক্তি ধরে রাখুন। প্ল্যানিং এমনভাবে করুন যেন শত্রু ব্যতিব্যস্ত থাকে আর আপনি থাকেন আরামে, চুপচাপ । একাত্তরে ক্র্যাক প্লাটুন মিত্রবাহিনীর হয়ে এই কাজটা করত।
পোড়াবাড়ি লুট করুন
যে দেশের অবস্থা স্থিতিশীল না, সেই দেশ আক্রমণ করুন। যে শত্রু নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করছে, তাদের ঝগড়ার সুযোগ নিন।
পূবে তলোয়ার ওঠান, কল্লা নিন পশ্চিমের জনের।
পেনাল্টি শুটআউট দেখেছেন? স্ট্রাইকার দেখায় একদিকে আর কিক করে আরেক দিকে? একই জিনিস।
তিলকে তাল বানান।
আলুটাইপ পত্রিকা এই কাজটা করে। মিথ্যা, ফটোশপ করা ছবি বানিয়ে উনিশ মাসের শিশুকে কারারূদ্ধ করার সংবাদ ছাপিয়ে প্রশাসনের বিরূদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা এর একটা পারফেক্ট উদাহরণ।
নৌকা চালান পদ্মায় কিন্তু মাছ ধরুন আড়িয়াল খাঁ-তে।
মানে, আপনার প্রস্তুতি দেখেই যেন কেউ আঁচ করতে না পারে কি করতে যাচ্ছেন। শত্রুকে ভাবতে দিন আপনি পদ্মায় মাছ ধরবেন, ওটা ঠেকাতেই তাকে ব্যস্ত রাখুন- আর সেই ফাঁকে আড়িয়াল খাঁ নদীর মাছ উজাড় করে দিন।
আগুন নেভার আগে ছাইতে হাত দেবেন না।
মানে, শত্রু ক্লান্ত হবার আগে তাকে ঘাঁটাবেন না। অতিউৎসাহ পরাজয়ের কারণ।
হাসির আড়ালে ছুরি লুকিয়ে রাখুন।
আপনার মুখের হাসি দেখে শত্রু আপনাকে নরম সরম ভোলাভালা ভাবুক। তার এই ভুল ধারণা ভাঙাতেই ছুরি দরকার। সময় সুযোগমত বসিয়ে দেবেন।
অন্ডকোষ বাঁচাতে আঙুল বিসর্জন দিন
হাতের কড়ে আঙুলের চাইতে অন্ডকোষের উপরে অবস্থিত যন্ত্রটি বেশি মূল্যবান। ওখানে কেউ তীর মারলে আঙুলের বিনিময়ে হলেও তা ঠেকান।
যো আপসে আতা হ্যায় উসকো আনে দো
আপনার প্ল্যান হতে হবে নমনীয়। যদি কোন ছোটখাট সুযোগ নিজ থেকেই চলার পথে হাজির হয়, ওটা গ্রহণ করুন। রাখাল পেটানোর সময় ভেড়ার রোস্টে আপত্তি করবেন না।
সাপকে ভয় দেখাতে ঝোপে বাড়ি দিন।
মানে, আনএক্সপেক্টেড কিছু করুন, যাতে শত্রু ওটায় রেসপন্ড করতে গিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেয়। উল্টোটাও সত্য, শত্রুর উল্টোপাল্টা কাজে ধুম করে রেসপন্ড করবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।
আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করতে লাশ ধার করুন
জামাতিরা যেটা করে। এরা এদেশকে পাকিস্তান বানাতে মৌদুদীর মৃত মতবাদের সহায়তা নেয়, ধর্মটাকে নিজের মত করে ব্যাখ্যা করে।
বাঘকে সুন্দরবনের বাইরে আনুন
বাঘ মারতে চান? সুন্দরবনের ভেতরে গেলে বাঘের পেটে যাবার সম্ভাবনা বেশি। তার চেয়ে বরং মৌয়ালি গ্রামের বাইরে ছাগল বেঁধে রাখুন, বাঘ তার ডেরার বাইরে এলেই ঢিশুম!
মানে, শত্রুর সুবিধাজনক স্থানে তাকে আক্রমণ করবেন না। তাকে তার কমফোর্ট জোনের বাইরে আনুন।
স্পিনে শক্তিশালী ভারতকে নিয়ে মাশরাফি ঠিক এই কাজ করেছিল, তাদেরকে স্পিনের বদলে পেসার দিয়ে ঘায়েল করে।
বাঘকে কোনঠাসা করবেন না
শত্রু যদি বোঝে যে তার পালানোর উপায় নেই, সে মরীয়া হয়ে লড়বে। তাকে বিশ্বাস করতে দিন যে পালানোর উপায় আছে, এতে তার লড়াই করার জোশ অনেকটাই কমে যাবে ।
ইঁটের বিনিময়ে হীরে নিন
শত্রুকে এমন কিছু দিন যেটা আসলে মূল্যহীন কিন্তু সে যেন মনে করে ওটা পরম সম্পদ। বিনিময়ে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিন সত্যিকারের জরুরী কিছু।
পালের গোদাটাকে ধরুন
একগাদা শত্রুর পেছনে আলাদা আলাদা না লেগে সবচাইতে বড়টাকে ধরুন, তার পেছনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করুন।
কড়াই ঠান্ডা করতে উনুনের কাঠ সরিয়ে নিন
এই কাজটা আমরা প্রায়ই করি। দেখা যায়, দুই পয়সার কোন চ্যালাচামুন্ডা “আমি অমুক ভাইয়ের লোক” বলে গরম দেখায়। এই “অমুক ভাই”(বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন্ত্রী) যখন তাঁর ওই চ্যালার আকাম কুকামের ফিরিস্তি হাতে পান (আমরাই পাঠাই), তিনি অনেক সময় ওই চ্যালার পেছন থেকে সরে আসেন।
ব্যাস, বাছাধন সোজা বাঘ থেকে বিড়াল!
মাছ ধরতে জল ঘোলা করুন
শত্রু যেখানে থাকে, সেখানটায় সন্দেহ সৃষ্টি করুন। তাকে তার নিরাপদ আশ্রয়ের প্রতি সন্দীহান করে তুলুন। এরপর তার দ্বিধার সুযোগ নিয়ে খপ করে ধরে ফেলুন।
একুশ)
হালুমের বদলে মিয়াও ডাকুন
মানে হল, নিজের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য পাল্টে ফেলে শত্রুকে দ্বিধাগ্রস্ত করুন। এই যেমন বহু জামাতি ভেক পাল্টে আজকাল “মহান মুক্তিযুদ্ধের” কথা বলে। মারাত্মক কার্যকর টেকনিক।
চোর ধরতে চান? দরজা আটকান আগে।
চোর যখন ঘরে ঢোকে, তাকে ধরতে চাইলে সব দরজা বন্ধ করুন। শত্রুকে আঘাত হানার আগে তার পলাবার সব রাস্তা বন্ধ করে দিন।
রাশিয়ায় বসে পাকিস্তানকে সাইজ দিতে চান? ভারতকে ধরুন।
দূরের কোন শত্রুকে সাইজ দিতে তার পাশে থাকা শত্রুর সাথে বন্ধুত্ব করুন। একাত্তরে রাশিয়া এই কাজ করেছিল, আমেরিকান লবির পাকিস্তানকে সাইজ দিতে ভারতের সাথে হাত মিলিয়েছিল।
আপনি বাঘ? প্রতিদ্বন্দ্বী সিংহের থাবায় পড়া বিড়ালকে সহায়তা করুন, তারপর বিড়ালের এলাকাটুকু নিজের আওতায় আনুন।
বড় শত্রুর বিপক্ষে লড়ার সময় তার বিরূদ্ধে লাগা ছোটখাটো শত্রুকে সহায়তা করুন, তারপর সেই শত্রুর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন।
পঁচিশ) লোহার রড পঁচা কাঠ দিয়ে রিপ্লেস করুন
যে ভিত্তির উপর শত্রু দাঁড়িয়ে, সেটা নড়বড়ে করে দিন। যে ট্রেনিং তারা পেয়েছে তার বাইরে গিয়ে অপারেশন করুন, তাদের প্রচলিত অভ্যাসের বাইরে গিয়ে লড়ুন। মুক্তিবাহিনী শুকনো দেশের পাকিদেরকে পানিতে এনে যে কাঁচকি মাইর দিয়েছিল তা থেকেই এই স্ট্র্যাটেজি বোঝা যায়। এছাড়া, পাকিদের বলা হয়েছিল তারা হিন্দু মারতে যাচ্ছে, কিন্তু এসে দেখে বাঙালি মুসলিমও আছে। তাদের জিহাদী জোশ এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়, ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
ছাব্বিশ) ঝি কে মেরে বৌকে শেখান।
দুটো সমপর্যায়ের শক্তিশালী প্রতিপক্ষের ভেতরে সাধারণত সরাসরি লড়াই অলাভজনক। সেই ক্ষেত্রে আপনার অসন্তোষ প্রকাশ করতে ছোট কোন শত্রুকে সাইজ দিন, বড় শত্রু মেসেজ পেয়ে যাবে।
সেয়ানা পাগল হোন।
এই কাজটা জাপানীরা করে। ভাব দেখায় কিচ্ছু বোঝেনা, ভোলাভালা। ওদের কাছ থেকে জিনিস কিনতে চান? প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের সময় চরম খাতির করবে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয় যন্ত্র তা দেখিয়ে দেবে। কিন্তু যেই খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করবেন, স্রেফ বোবা বনে যাবে, বলবে ইংরেজি বোঝেনা। বিজনেস ডীলে জাপানিদের এই বোকা বোকা ভাব দেখে ধরা খেয়েছে বহু দেশ।
শত্রুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে লোভ দেখিয়ে খারাপ কোন জায়গায় বা পরিস্থিতিতে ফেলুন, তারপর তার বের হবার পথ বন্ধ করে দিন।
দেখান মুরগী, খাওয়ান ডাল।
শত্রুকে ধোঁকা দিন, ফালতু কোন বিষয়কে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন, নিপাট নিরীহ কোন ব্যাপারকে দেখান ভয়াবহ বিপজ্জনক। এতে সে হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
সূঁচ হয়ে ঢুকুন, ফাল হয়ে বের হোন।
ইংরেজরা এদেশে এসেছিল ব্যবসায়ী হয়ে, তারপর কায়দামত সুযোগ বুঝে দখল করেছিল সমগ্র উপমহাদেশের সিংহাসন। এরা এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল। প্রথমে পাঠাবে বাইবেল হাতের মিশনারি(পজিশন নয়, পাদ্রী), তারপর বানিজ্য জাহাজ, তারপর সেনাবাহিনী। সব সাম্রাজ্যবাদীর এক রা!
মধুর ফাঁদ
উপরের সবগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্বাধিক সফল কৌশল। এটাকে আধুনিক এসপিওনাজে বলে হানি ট্র্যাপ। শত্রুর কাছে পরমাসুন্দরী কোন তরুনীকে পাঠিয়ে দিন। কামদেবের শরে প্রেমাক্রান্ত শত্রুর খাট যখন খটখটিয়ে নড়তেই থাকবে, তখনই সুযোগ তাকে তুলেমূলে ধ্বংস করা! মেশিনম্যান নিজে কিন্তু সরাসরি না হলেও অনেকটা এভাবেই লইট্যা ফিস খেতে গিয়ে ধরা পড়েছিল
দূর্গ খালি করুন
যখন দেখছেন যে কোন মুহূর্তে আপনার চাইতে বড় কোন শত্রুর দ্বারা আপনি আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন, নিজের শিবির ফাঁকা করে দিন, তারপর অস্বাভাবিক প্রশান্তি দেখান (যেখানে আপনার নার্ভাস হবার কথা)। আপনার এই প্রশান্ত ভাব দেখে শত্রু ভাববে, নিশ্চয়ই সব লোকজন আপনি কোন ফাঁদ পাততে পাঠিয়ে দিয়েছেন! সে টোটাল কনফিউশনে পড়বে।
ভেড়ার গায়ে সিংহের চামড়া পরিয়ে দেখান
নিজের যা শক্তি, সেটাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেখান। নিজের দুর্বলতাগুলোকে এমনভাবে সাজান যেন তা দেখলে মনে হয় ওগুলো আসলে দুর্বলতা নয়, শক্তি।
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করুন
শত্রুর সামনে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করতে নিজেই নিজের সহনীয় পর্যায়ের ক্ষতি করুন। এতে শত্রু আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করে সর্বশক্তিতে আক্রমণ করবেনা। মনে রাখবেন, শত্রু আপনাকে ছোট ভাবলে ওতে আপনার লাভ!
কৌশলের যোগসূত্র
উপরে বর্ণিত কৌশলগুলো সবাই জানে, আসল খেলা হল কিভাবে এর এক বা একাধিক কৌশল বেছে নেবেন, সবগুলো পরিস্থিতি অনুযায়ী কাস্টমাইজ করবেন, কিভাবে সঠিক সময়ে সঠিক লোকের ক্ষেত্রে সঠিক স্ট্রাটেজি কাজে লাগাবেন। যেমন: হানিট্রাপে সুন্দরী মেয়ে পাঠিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করতে বলা হয়েছে। আপনার শত্রু যদি সমকামী হয়, তাহলে ক্যাটরিনা কাইফকে পাঠালেও লাভ হবেনা (ইয়ে, আমার শত্রুরা চাইলে পাঠাতে পারেন আমার কাছে, লাভ হবে )
মোদ্দা কথা, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিন।
পালান
উপরের কোন সূত্র কাজে যদি না লাগে, স্রেফ হাওয়া হয়ে যান। আত্মসমর্পণ মানে পুরো পরাজয়, কম্প্রোমাইজ করা মানে অর্ধেক পরাজয়। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে,you live to fight another day.
যুদ্ধে আপনার জিততে হবে, ইগোর কোন মূল্য এখানে নেই। এ কারণেই অর্জুন রথ দেবে যাওয়া অবস্থায় কর্ণকে হত্যা করে, ভীম দুর্যোধনের উরুর নীচে আঘাত করে । There is no runner-up in war, there is no such thing called a honorable defeat.
#উপসংহার:
এ লেখাটি পড়ে আমাকে খুব খারাপ ভাবতে পারেন, ঘৃণায় ভরে যেতে পারে আপনার মন। এরকম জিনিস শিখাচ্ছি দেখে আমাকে একটা পাক্কা শয়তান ভাবতে পারেন। সবিনয়ে বলি, আমি শয়তান কিনা জানিনা তবে যাদের সাথে লড়ে আমি টিকে আছি এরা একেকটা হাড় হারামজাদা। কেউ কেউ বেশ উচ্চ পদেও আছে। উপরে যা যা কৌশল বললাম তার অন্তত: অর্ধেক আমার বিরূদ্ধেই প্রয়োগ করা হয়েছে। ঘা গুঁতো খেয়ে খেয়ে এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাকে শয়তানের মাথায় ঢুকতে হবে, ওর পদ্ধতিতেই ওকে ঘায়েল করতে হবে। আমার, আমার পরিবারের, আমার দেশের কেউ ক্ষতি করতে এলে এর প্রতিটা কৌশল আমি হাসিমুখে ব্যবহার করব।
Because, the other bastard would do the same.
আপনি বাদ থাকবেন কেন?