স্বচ্ছচিন্তাঃ বিজ্ঞান বনাম ছদ্মবিজ্ঞান (Science V/S Psuedo-Science)

11760173_1620971714846460_1662437068350141917_n“ভাই, নাসার বিজ্ঞানীদের যদি বিশ্বাস করতে পারেন, জ্যেতিষীর কথা বিশ্বাস করবেন না কেন? দুইজনই তো গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে কাজ করে!”

বসুন্ধরা মার্কেটে জ্যেতিষীর দোকানের বাইরে এক পরিচিত লোককে হাত দেখাতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে এই উত্তর দিয়েছিলেন। ভদ্রলোক ফিজিক্স গ্র্যাজুয়েট, বর্তমানে ব্যবসা করেন। ব্যবসায় ভাগ্য ফেরাতে এই ব্যবস্থা।

গ্রহ নক্ষত্র এর অবস্থান নিয়ে গবেষণা আর গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা- এই দুটোতে আকাশ পাতাল পার্থক্য।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিজ্ঞানের ব্যবহার শেখানো হয়, নিউটনের সূত্র মুখস্ত করানো হয়- কিন্তু বিজ্ঞানের যে দর্শন তা শেখানো হয়না। এ কারণেই আমরা দেখি ফিজিক্স গ্র্যাজুয়েট যায় হাত দেখাতে, আমেরিকার সায়েন্স পিএইচডি করা ভদ্রলোক সন্তান লাভের আশায় “হুজুর” এর দরগাহ-তে ছোটে। শারীরিক সমস্যাটা যদি স্ত্রীর না হয়ে স্বামীর হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্য সন্তান লাভ হয়-তবে তাতে পীরের দোয়াদুরুদের কেরামতি নয়, “অন্যকিছু” কাজ করে।

চলুন, দেখে নিই ছদ্মবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যগুলোঃ

এক) সুনির্দিষ্ট দাবী না করে ভাসা-ভাসা, শ্রুতিমধুর দাবী করাঃ আমার আম্মুর ফিটনেস সেন্টারে এক ভদ্রমহিলা তাঁকে “কোয়ান্টাম করুন, কোয়ান্টাম করুন” বলে পুরো পাগল বানিয়ে ফেলছিলেন।তাঁদের কত্থোপকত্থন অনেকটা এরকম ছিলঃ

আম্মুঃ কোয়ান্টাম জিনিসটা কি?
ভদ্রমহিলা-“ভাবী, কোয়ান্টাম হচ্ছে সায়েন্স অফ লিভিং বা জীবনযাপনের বিজ্ঞান”
আম্মু- “কোয়ান্টাম করলে কি হয়?
ভদ্রমহিলা- “কোয়ান্টামে সব হয়, এটা করলে আপনার জীবন পালটে যাবে”।
আম্মু- “কোয়ান্টাম করলে যদি সব হয়, তাহলে মেয়ের ওজন কমাতে আমার জিমে এসেছেন কেন?”

বুঝতেই পারছেন, ভদ্রমহিলা আর কথা বাড়াননি। যখনই কেউ ভারী ভারী বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে উদ্ভট সব দাবী করবে ( আশি বছর বয়েসেও বিশ বছরের যুবকের মত “কোপাকুপি” করতে পারবেন এই কোর্স করলে, আপনার বয়েস উল্টোদিকে চলতে থাকবে এই শেকড়ের ভর্তা খেলে ইত্যাদি ইত্যাদি), ধরে নেবেন ওটা ছদ্মবিজ্ঞান বা ভাঁওতাবাজি।

দুই) শুধুমাত্র পক্ষে যায় এমন সব তথ্য ব্যবহার করাঃ ছদ্মবৈজ্ঞানিকের দল তাদের গবেষণা বলতে পিয়ার রিভিউড স্কলারলি জার্নালের বদলে সংবাদপত্রের ক্লিপিং, ধর্মগ্রন্থের মন্ত্র, ভুল প্রমাণ হওয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য, একটা দুটো উদাহরণ- এসব ব্যবহার করে। “অমুক দেশের তমুক ভাইজান কচুপাতা খেয়ে ক্যান্সার সারিয়েছিলেন, সুতরাং কচুপাতায় ক্যান্সার সারে এইটা প্রমাণিত”- এজাতীয় কুযুক্তি ছদ্মবৈজ্ঞানিকদের কাছে খুব প্রিয়।

হয়ত কোনকালে এক লোক আসলেই কচুপাতা খেয়েছিল এবং পরবর্তীতে তার ক্যান্সার সেরেছে। খেয়াল করুন, ওই লোক কচুপাতা খেয়েছে এই তথ্যই শুধু দেয়া হয়েছে, কচুপাতা খাওয়ার সাথে সাথে সে অন্য কোন চিকিৎসা নিয়েছে কিনা, তার ক্যান্সার কি ফাইনাল স্টেজ না প্রাথমিক স্টেজের ছিল, কচুপাতা খেয়ে সে ছাড়া আর কারো ক্যান্সার সেরেছে কিনা- এ জাতীয় কোন তথ্যই দেয়া হয়নি।

কাজেই, কচুপাতায় ক্যান্সার সেরেছে এমন কোন তথ্য শুনলে দয়া করে কচুপাতা খাওয়া শুরু করবেন না- প্রতিষ্ঠিত সায়েন্টিফিক/ মেডিকেল জার্নালগুলো দেখুন, তা না পারলে অন্ততঃ একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

তিন) সর্বজনীন বর্ণনাঃ

এইমাত্র “গণেশা স্পিকস” নামের রাশিফলের ওয়েবসাইটে গিয়ে আমার রাশি ( Sagittarius) এর বৈশিষ্ট্য দেখলাম। বিশ্বাস করুন,মনে হল খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। ওখানে যা যা বলা আছে একটু বলিঃ

ক) আমি অতিমাত্রায় পজেটিভ, যে কোন খারাপ কিছুতেও আমি ভাল দিক খুঁজে পাই
খ) আমি খুবই দার্শনিক টাইপের এবং মানুষকে অনুপ্রেরণা দিই।
গ) আমি খুবই উদার মনের মানুষ, অনেক কষ্ট হলেও অন্যের ভাল করি
ঘ) আমি খুবই এ্যাডভেঞ্চারাস, রিস্ক নিতে ভয় পাইনা।

ধনুরাশির অন্যান্যদের মধ্যে আমার সাথে আছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স, ক্রিশ্চিয়ানা এ্যাগুইলেরা এবং ব্র্যাড পিট। ব্রিটনি আপু আর পিট ভাইয়াকে দেখে খুশি হয়ে উঠেছিলাম, কিন্তু দেখলাম চিলির অগাস্টো পিনোশে এবং রাশিয়ার স্তালিন- এই ভয়াবহ দুই গণহত্যাকারীও আমার সাথে আছেন।

বুঝুন অবস্থা!

আসল কাহিনী হচ্ছে, উপরের চারটা বৈশিষ্ট্য আপনি যে কাউকে বলুন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে খুশি হয়েই মেনে নেবে। পান থেকে চুন খসলে যেই ছেলে চেঁচিয়ে সারাবাড়ি মাথায় তোলে তাকেও যদি বলেন, “আপনি খুব চাপা স্বভাবের, নিজের দুঃখকষ্ট কাউকে জানতে দিতে চান না”- দেখবেন সে-ও মেনে নিচ্ছে। “আমি ওটাই বিশ্বাস করব যা আমি বিশ্বাস করতে চাই”- এই সাইকোলজিটা ছদ্মবিজ্ঞানীরা খুব চতুরভাবে কাজে লাগায়।

চার) বিজ্ঞানের শব্দ ব্যবহার করে কিন্তু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আপত্তিঃ

চলুন ফিরে যাই কোয়ান্টামে। যদি মনে করেন আমাদের মহাজাতক বাবাজি-ই এই কোয়ান্টাম নিয়ে প্রথম কাজ করেছেন, বিরাট ভুল করবেন। পশ্চিমা বিশ্বে বহু ভাঁওতাবাজ এই “কোয়ান্টাম” শব্দ ব্যবহার করে লোক ঠকিয়ে নিয়েছে এবং নিচ্ছে। মহাজাতক সাহেবের কৃতিত্ব একটা জায়গাতেই, তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এটাকে কাস্টমাইজ করেছেন।

“কোয়ান্টাম বায়োফীডব্যাক” নামে একটা মেশিন আছে যেটা আপনার দেহের যাবতীয় রোগ সারাতে সক্ষম। মজার ব্যাপার, এই মেশিনের আবিষ্কারক উইলিয়াম নেলসন ক্যান্সার সারানোর কথা বলে এক ক্যান্সার রোগীর কাছ থেকে সতের হাজার ডলার নিয়েছেন। রোগী সুস্থ্য না হওয়ায় তার পরিবারের কাছে মামলা খেয়ে সর্বশেষ জানা যায় তিনি হাঙ্গেরীতে অবস্থান করছেন।

“কোয়ান্টাম মেকানিক্স” হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাস্ত্র, যে শাস্ত্রের প্রতিটি দাবী ভয়াবহভাবে যাচাই করা হয় এ বিষয়ে অন্যান্য এক্সপার্টদের মাধ্যমে, পুনঃপুনঃ পরীক্ষা করা হয়, ভুল কিছু পেলে সংশোধন করা হয়। এর প্রতিটি দাবী সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট গণ্ডীতে আবদ্ধ। “কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন” বা “কোয়ান্টাম মেথডের” সাথে এর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, শুধুমাত্র চটকদার নামটুকু ছাড়া।

ভাঁওতাবাজির বিজ্ঞানের আরেকটি নমুনা দেই কোয়ান্টাম মেথডের মূল সাইট থেকে। গুগলে চুম্বক পানি বাংলায় লিখে সার্চ করলেই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অরিজিনাল ওয়েবসাইট চলে আসবে। ওখানে যা লেখা পাবেনঃ

////////পানীয় হিসেবে চুম্বক পানিকে পানির রাজা বলা যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক, আলসার এবং পেটের সমস্ত রকম পীড়ায় চুম্বক পানি অত্যন্ত উপকারী। দ্বিতীয়ত, এটা দেহের ফ্লাশিং সিস্টেমকে অত্যন্ত সুন্দর রাখে। এতে দেহের ভেতর বর্জ্য পদার্থ জমে থাকতে পারে না এবং চুম্বক পানি যদি নিয়মিত পান করা যায় তাহলে শরীরের মধ্যে কোনো ধরনের পাথর জমার সম্ভাবনা থাকে না। দেহের যে কোনো রোগে এটি উপকারী বিশেষত পরিপাক ক্রিয়া ও মূত্রাশয়ের ব্যাধিতে। নিয়মিত চুম্বক পানি ব্যবহারে পাকস্থলীর হজম শক্তি ও ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়, বায়ু নির্মূল করে, এসিডিটি হ্রাস করে, প্রস্রাব পরিষ্কার করে, পিত্ত স্বাভাবিক রাখে, গলব্ল্যাডার ও কিডনীর পাথর নাশ করে, আলসার নিরাময় করে, দেহের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু জমাট বাধতে দেয়া না।

চুম্বক পানি আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন। দুটো শক্তিশালী চুম্বকের (একটি উত্তর মেরু এবং অন্যটির দক্ষিণ মেরু) ওপর দুটি বোতলে পানি ভরে বারো থেকে চব্বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখলে দুটো বোতলের পানিই চুম্বকায়িত হয়ে যাবে। এরপর দুটো বোতলের পানি পানের জন্যে তৈরি হয়ে গেলো। চুম্বক পানির কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বছরের পর বছর সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্যেও তা পান করা যেতে পারে।পরীক্ষা করে দেখা গেছে, চুম্বকের সংস্পর্শে পানির বোতল দীর্ঘক্ষণ রাখলে পানির বিভিন্ন গুণাবলী যেমন তাপ, ঘনত্ব, সান্দ্রত্ব, সারফেস টেনশন ও বিদ্যুৎ পরিবহন ক্ষমতা প্রভাবিত ও পরিবর্তিত হয়। চুম্বক পানির মধ্যে ভাসমান ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থের পলল ত্বরান্বিত করে এবং পানিকে দ্রুত আয়নায়িত করে।/////////

এ লেখাটি মেডিকেলের যেসব ছাত্রছাত্রী পড়ছেন, দ্রুত চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেতে গবেষণা শুরু করুন! নোবেল প্রাইজ পাবার পর বক্তৃতায় এই গরীবের নাম বলতে ভুলবেন না যেন!

শত শত বছর ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা একেকটা আবিষ্কার করেন যা মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর এইসব বদমায়েশ ছদ্মবিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের নাম ভাঙিয়ে বিভ্রান্ত করে চলে বোকাসোকা সাধারণ মানুষদের, হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা, তৈরি করে সুবিশাল চ্যালাচামুন্ডা বাহিনী।বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণালব্ধ তথ্য বারংবার পরীক্ষা নিরীক্ষা, সমালোচনা এবং ভুলত্রুটি স্বীকারে পেছপা হননা।অথচ ছদ্মবিজ্ঞানীদের কাছে প্রমাণ চেয়ে দেখুন,তাদের “গবেষণা” পুনঃপরীক্ষা করতে চান- দেখবেন কিরকম ফোঁস করে ওঠে!

বাংলাদেশে প্রচলিত তিনটি ছদ্মবিজ্ঞানের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিইঃ

অল্টারনেটিভ মেডিসিনঃ প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল স্কুলে পড়ানো হয়না এবং প্রমাণের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি (Evidence based) এরকম যত ধরণের মেডিসিন আপনি দেখবেন, সব হচ্ছে এই শ্রেনীভুক্ত। এদের নানারকম নাম আছেঃ আয়ুর্বেদ, আকুপাংচার, রেইকি, কোয়ান্টাম হীলিং ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন কোন ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিগুলো সাময়িক মানসিক শান্তি এবং মিথ্যা আশা দেয়, যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে যদি রোগী সঠিক, আধুনিক চিকিৎসা না নেয়।

হোমিওপ্যাথীঃ জার্মান ডক্টর স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথি আজও বাংলার ঘরে ঘরে অতি জনপ্রিয়, এমন কোন মফস্বল শহর দেখিনি যেখানে অন্ততঃ দু চার দশটা হোমিও ঔষধালয় নেই। ভারতে সাত হাজারের উপরে হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক রয়েছে এবং সেখানে এর উপরে এমডি ডিগ্রি পর্যন্ত দেয়া হয়। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি সিলেক্ট কমিটির প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, “হোমিওপ্যাথি হচ্ছে রাবিশ এবং এর সব ফান্ড বন্ধ করে দেয়া দরকার”

কোয়ান্টাম_মেথডঃ মেডিটেশনের উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, তবে কোয়ান্টাম যেভাবে এটাকে সর্বরোগের মহৌষধ হিসেবে প্রচার করে তা ডাহা মিথ্যে কথা এবং বিপজ্জনক। দারুণ একটা আর্টিকেলের লিঙ্ক দিচ্ছি, এখানে বিস্তারিত পাবেনঃ

http://tinyurl.com/qdjkjq6

উপরের আর্টিকেলের লেখকের নাম জানিনা, আমার এই লেখায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা পৌছে দিলাম।

শেষ করছি জাপানী যুক্তিবাদী কবি তামাহোমা-সান এর লেখা লিমেরিক এর বঙ্গানুবাদ দিয়েঃ

শেষ কথা নয় বিজ্ঞান, তবু ওতেই রাখি আস্থা
উন্নত সে হচ্ছে ছিঁড়ে মিথ্যে দাবীর বস্তা
নয় সে পরম,তবুও আপন-
সহজ করছে জীবন যাপন,
ছদ্মজ্ঞানের বুলি? ছিঃ তা এক্কেবারে সস্তা!

ডিসক্লেইমারঃ

১) এ লেখাটি মৌলিক নয়। উইকিপিডিয়ার ইংরেজি আর্টিকেলসমূহ, প্রফেসর ররি কোকারের “ডিস্টিংগুইশিং সায়েন্স এ্যান্ড স্যুডোসায়েন্স” নামের আর্টিকেল ইত্যাদি ঘেঁটে তার সাথে নিজস্ব বিবেচনাবুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে এটি লিখেছি, যাতে ফেসবুক ফলোয়ারগণের অন্ততঃ কারো কারো কাজে লাগে।

২) ইয়ে, “তামাহোমা-সান” নামে কোন জাপানি কবি নেই, নামটি আমার মস্তিষ্কপ্রসুত। এর মর্মার্থ কেউ সঠিকভাবে বলতে পারলে ভরপেট সুশি খাওয়াবো।

৩) যে কোন যৌক্তিক সমালোচনা সাদর আমন্ত্রিত। তবে ত্যানা প্যাঁচানোমাত্র ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ব্লক করা হবে।

৪) ছবিটি তৈরি করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী পিএইচডি গবেষক ঈষিতা আখতার। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।

Comments

comments