ছাগু সনাক্তকরণে প্রস্তাবিত বেল্ট সিস্টেম

(সতর্কীকরণঃ সুশীল পোস্ট নয়, স্বাধীনতাবিরোধী “ছাগু”দের বোঝাতে শালীনতার সীমা অতিক্রম করা হয়েছে।)

কুংফু কারাতে তথা মার্শাল আর্টে স্কিল লেভেল সনাক্ত করতে বেল্ট সিস্টেমের কথা আমরা সবাই জানি। মার্শাল আর্টের একেবারেই আনকোরা শিক্ষার্থী প্রথমে হোয়াইট বেল্ট দিয়ে শুরু করেন, পরবর্তীতে ধাপে ধাপে নিজ পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে তিনি ব্ল্যাক বেল্ট লেভেলে উন্নীত হন।

FgDO9xUইজরায়েলি আত্মরক্ষার কৌশল “ক্রাভ মাগা” শিখতে গিয়ে আমার মনে হল, আরে, ছাগু সনাক্তকরণের জন্যে এরকম একটা বেল্ট সিস্টেম চালু করলে কেমন হয়?!! এই চিন্তা থেকেই বড়দিনের ছুটিতে এই বেল্ট সিস্টেমের জন্ম। (পাশের ছবিতে ক্লিক করে দেখুন)

অনলাইনে ইতোমধ্যেই লিজেন্ডারি কেপি তথা কাঁঠালপাতা টেস্ট প্রচলিত, তবে নবীন ব্লগারগণ অনেকেই কেপিটেস্ট ঠিক মত প্রয়োগে অভিজ্ঞ নন। এ কারণেই কেপিটেস্টের পরবর্তী ভার্সন এই বেল্ট সিস্টেমের উৎপত্তি।

এই সিস্টেমে হোয়াইট বেল্ট থেকে শুরু করে ব্ল্যাক বেল্ট পর্যন্ত সাতটি ধাপে কোন লেভেলে কোন ছাগু কি আচরণ করবে তা এক নজরেই বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি। আপনারা একবার দুবার দেখলেই আশা করি বিষয়টা মাথায় ঢুকে যাবে।

বেল্ট সিস্টেম‬ বা বেল্ট মডেল ছাগু এবং ছাগুশিকারী উভয়েরই উপকারে আসবে বলে আমি আশা রাখি। সিনিয়র ছাগু যেমন এই সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে জুনিয়র ছাগুদেরকে সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন (এবং কাকে কি পরিমাণ কাঁঠালপাতা দেয়া হবে সেটাও নির্ধারণ করতে পারবেন), ছাগুশিকারীরাও শিকার হিসেবে বোঁটকা গন্ধ ছড়ানো ছাগুর “লেভেল” বুঝে সে অনুযায়ী “টোটকা” দিতে পারবেন। এই বেল্ট সিস্টেম উভয়পক্ষের মূল্যবান সময় ও শ্রম হ্রাস করবে বলে আমার শক্ত বিশ্বাস।

চলুন দেখে নিই ছাগুবিন্যাসঃ

‪‎লেভেল‬ ১ঃ হোয়াইট বেল্ট

একেবারেই প্রাইমারি লেভেলের সদ্যজাত, শিক্ষানবিস ছাগু। এরা টাকলা ভাষায় লেখে,প্রোফাইল পিকে কাদের মোল্লা/গোআর ছবি থাকে।দেখামাত্র চেনা যায়।

লেভেল ২ঃ ইয়েলো বেল্ট

এরা দ্বিতীয় ধাপের ছাগু, ছাগুত্বের বয়েস ৩-৬ মাস। বাঁশের কেল্লা পেইজে লাইক দেয়, পাকি টিমের নামাজরত ছবি পোস্ট করে। এদের ওয়াল দেখামাত্র বুঝতে পারবেন।

লেভেল-৩ঃ অরেঞ্জ বেল্ট

এরা সদ্য হাঁটতে শেখা ছাগু। ছাগুত্বের বয়েস ৬-১২ মাস। ধর্মীয় মোড়কে লেখা রাজাকারী ব্লগের লিংক শেয়ার দেয় এবং তার ভিত্তিতে আলোচনা চালাতে চেষ্টা করে। এরাও ওয়ালে বা প্রোফাইল পিকে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়, এদের লাইক পেইজগুলো দেখলেও এদের পরিচয় পাওয়া যায়। সাধারণত “আসুন সবাই সহীভাবে ধর্মকে মানি” এর সাথে সাথে “সানি লিওনির গরম ছবি”- এধরণের দুটো পেজেই পাশাপাশি লাইক দেয় এই মূর্খের দল।

লেভেল-৪ঃ গ্রীন বেল্ট

হেঁটে খোঁয়াড় ছেড়ে বের হওয়া স্বাবলম্বী ছাগু। ছাগুত্বের বয়েস ১-২ বছর। মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে নিজ নামে দুর্বল ভাষায় ব্লগ লেখে, পরে গালির তোড়ে পালিয়ে বাঁচে। ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তান সাপোর্টকে জায়েজ করতে “খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না” বয়ান দোচায়।

লেভেল-৫ঃ ব্লু বেল্ট

এরা মোটামুটি মানের অভিজ্ঞ ছাগু। এদের সাথে আগের ধাপগুলোর পার্থক্য ত্যানা প্যাঁচানোর ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সংখ্যা, স্বাধীনতার ঘোষণা ইত্যাদি নিয়ে এরা ত্যানা প্যাঁচাতে ভালোবাসে এবং ঠিক সময়ে গদাম না দিলে পুরো থ্রেড আবর্জনাময় করে তোলে।

লেভেল-৬ঃ ব্রাউন বেল্ট

এরা যথেষ্ট মাত্রায় অভিজ্ঞ ছাগু। মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেই এরা পলাশীর যুদ্ধ, ১৯৬৫ ইন্ডিয়া পাকিস্তান ওয়ার -ইত্যাদি টেনে আনে,সেই সাথে নানারকম গাঁজাখুরি রেফারেন্স দেয়। “আমিও যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই” বলার পরে “কিন্তু” লাগিয়ে “আগে অমুকের গুপ্তকেশ কর্তনের বিচার”চাওয়া ,মাঝারি গোছের সুশীলীয় ভন্ডামি, রাজাকারকে গালি দিতে গেলে “ভদ্র ভাষার আকুতি” -ইত্যাদি এদের ট্রেডমার্ক।

লেভেল-৭ঃ ব্ল্যাক বেল্টঃ

ব্রিটেন, আমেরিকা ইত্যাদি পশ্চিমা দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী একাডেমিক, কিছু কিছু অতি ডান এবং অতি বাম-উভয় ঘরানার পন্ডিত,সংস্কৃতির ধ্বজাধারী বকধার্মিক এবং যাবতীয় বুদ্ধিবেশ্যারা এই শ্রেনীভুক্ত। এরা স্বাধীনতাবিরোধী কথাবার্তাকে “ভিন্নমত”/”ফ্রিডম অফ স্পীচ” নামে চালাতে চেষ্টা করে। টক(মারানি) শো’তে ইনিয়ে বিনিয়ে ম্যাৎকার থেকে এদের সহজেই চেনা যায়। ছাগুসমাজে এদের সম্মান এলিটেস্ট অফ দা এলিস্ট পর্যায়ে, কতিপয় ছাগুসম্প্রদায়ভুক্ত ভিন্ন ছোঁয়ার ব্যান্ডদল এদের মিথ্যাচারকে উৎসাহ দিয়ে গান-বাজনাও করে থাকে।

ব্ল্যাক বেল্টই মূলত ছাগুত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়, তবে এটিই শেষ নয়। ছাগুগিরিতে আজীবন অবদান রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতা তথা যুদ্ধাপরাধে ধরা খেয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অনেকেই ব্ল্যাক বেল্টের প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি করে নবম পর্যায় পর্যন্ত গিয়েছেন বলে গবেষণায় জানা যায়। তবে এটি যথেষ্ট সফিস্টিকেটেড বিষয়, আম জনতার জন্যে স্টার্টিং পয়েন্ট হিসেবে উপরে উল্লিখিত বেল্ট সিস্টেম প্রভূত কাজে দেবে এই আশা রাখি।

এই পোস্টটি এক দুবার পড়ুন, তারপর ছবিতে ক্লিক করে সেটি দেখে নিন। প্রয়োজনে প্রিন্ট করে পিসির সামনে পোস্ট করে রাখতে পারেন- এতে কোন ছাগু কমেন্ট দেখামাত্র “তুই ব্লু বেল্টধারী ছাগু- এই নে গদাম” বলে জাতীয় কর্তব্য সহজেই পালন করতে পারবেন।

সবাইকে শুভেচ্ছা!!!

Comments

comments